1. [email protected] : Bayezid :
  2. [email protected] : Al Amin : Al Amin
  3. [email protected] : Wins School : Wins School

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পৌর উচ্চ বিদ্যালয়  এর সৃষ্টি ও কাঠামোগত মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ঃ

১৯৭১ এর যুদ্ধকালীন সময়ে আগরতলায় ২ নং সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের সাহায্য এবং যুদ্ধাকালীন কর্মকান্ডকে ত্বরাম্বিত করার লক্ষ্যে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও কমান্ডার ফরিদা আক্তার, যুদ্ধকালীন নারী গ্রুপ কমান্ড এর নেতৃত্বে ” বাংলাদেশ মহিলা সংঘ” নামে একটি সংগঠন তৈরী করেন। যার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের মধ্যে অন্যতম কাজ, বিভিন্ন শরনার্থী শিবিরে স্কুল স্থাপন করা। তারই প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে নারায়ণগঞ্জে পাইকপাড়া জিমখানা এলাকার শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া জনগণের সন্তানদের জন্য স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৬ সালে।

প্রাথমিক অবস্থায় ৭৭ জন বাচ্চা নিয়ে নিজস্ব গ্যারেজ ঘরে স্কুলটি ছোট শিশুদের নিয়ে কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে তার নিজস্ব খারিজকৃতি ২৫ শতাংশ জমির উপর ” নারায়ণগঞ্জ শহর উন্নয়ণ কমিটির” সহযোগীতায় একটি ২য় তলা দালান তৈরী করে প্রাথমিক অবস্থায় স্কুলটি পরিচালিত হয়।

স্কুলটি প্রথমে যাত্রা শুরু করে” বাংর্লাদেশ মহিলা সংঘনারায়ণগঞ্জ” এর নির্যাতিত ও দরিদ্র মহিলা সদস্যদের বয়স্ক শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে। আর এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠাতা ছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরিদা আক্তার ও যুদ্ধকালীন নারী গ্রুপ
কমান্ড। যিনি নিরলস পরিশ্রম ও নিঃস্বার্থ ভাবে সমাজসেবার মহান উদ্দেশ্য নিয়ে এই বিদ্যালয়টি এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। পরবর্তীতে স্কুল পরিচালনার সুবিধার্থে ৪(চার) জন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধার সমম্বয়ে আজকের স্বনামধন্য বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়েছে। যে ৪ (চার) জন মুক্তিযোদ্ধার সহযোগীতায় স্কুলটি পরিচালিত হইতেছিল তম্মধ্যে বীরমুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন, সংসদ সদস্য (তৎকালীন) , বীরমুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক খাজা মহিউদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা মহীউদ্দিন আহমেদ খোকা এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা ও কমান্ডার ফরিদা আক্তার ,যুদ্ধকালীন নারী গ্রুপ কমান্ড ।বর্তমান  বীরমুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার ব্যতীত সকলেই মৃত্যুবরণ করেছেন। ফলে আমি অত্যন্ত ভীত সস্ত্রস্ত আমার মৃত্যুর পর স্কুলটিকে নিয়ে এলাকার অসাধু ব্যক্তিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সুন্দর এবং সবুজ গাছে ঘেরা স্কুলটি অসৌন্দর্যময় স্থানে পৌছে দিবে। এর প্রেক্ষাপটে আমার অদম্য ইচ্ছা।

স্কুলটিকে যথাশীঘ্র সরকারীকরণ করে সরকারের নিকট সমপর্ণ করা যাতে ভবিষ্যতে স্কুলটিকে কোন অবসরপ্রাপ্ত আর্মি ব্যক্তিত্ব দ্বারা পরিচালিত করা যায়। পূর্ববর্তী সময়ে আফজাল হোসেন সংসদ সদস্য স্কুলটির চেয়ারম্যান ও আমি ফরিদা আক্তার সাধারণ সম্পাদক (প্রতিষ্ঠাতা) হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। শুধু মাত্র আফজাল সাহেবের অসহযোগীতার জন্য স্কুলটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে হাই স্কুলে রূপান্তরিত করতে পারি নাই। তার ধারণা হাইস্কুল হলে সরকার তত্ত¡াবধান করবেন তার গুরুত্ব থাকবে না। সে কারণেই তিনি এ ব্যাপারে সর্বদা বাধা দিতেন।

যার ফলে ৪৭ বৎসরের এই পুরাতন স্কুল তৎকালীন সময়ে হাই স্কুলে রূপান্তরিত হয় নাই। বর্তমানে স্থানীয় অভিভাবকের আবেদনের প্রেক্ষাপটে বর্তমান স্কুলটি হাই স্কুলে উন্নত করার লক্ষ্যে আমরা সচেষ্ট। ২০০৭ সালের আফজাল সাহেবের মৃত্যুর পর আমরা স্কুলটি ৫ম শ্রেণী হইতে উপরের শ্রেণীতে বাড়াতে শুরু করেছি এবং স্থানীয় নারায়নগঞ্জ জেলা ও উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তাদের পরার্মশে গণবিদ্যা নিকেতন স্কুল থেকে জে.এস.সি ও
এস.এস.সি পরীক্ষা দিয়ে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীগণ খুব ভাল ফলাফল করে আসছে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে সিটি কর্পোরেশনের ঠিক বিপরীত দিকে অবস্থিত স্কুলটি। কাঠামোগত দিক থেকে অত্যন্ত সুন্দর।

বর্তমানে বিদ্যালয়টির নামে খারিজকৃত ২৫ শতাংশ জায়গায় অবস্থিত। কারো অনুদানে নয় , স্কুলের নিজস্ব অর্থায়নেই স্কুলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে। বিদ্যালয়টির দক্ষিণে ৪তলা,উত্তরে ৪ তলা ও পশ্চিমে ২য় তলাসহ মোট ৩২টি শ্রেণী কক্ষ আছে। একটি সুদীর্ঘ খেলার মাঠ আছে এবং উত্তরে ও পূর্বে বড় ২টি গেইট আছে। মোট ছাত্রছাত্রী প্রায় ১১০০ জন। যোখানে ৩৪ জন শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা প্রদান করে যাচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে একটি বিজ্ঞানাগার, একটি কম্পিউটার ল্যাব, একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরী ও একটি বড় হলরুম আছে। বঙ্গবন্ধু কর্নার, শহীদ মিনার, মিনি পার্ক, ছেলে মেয়েদের আলাদা কমন রুম ,১৩টি বাথরুম, বিশাল খেলার মাঠ এর সমম্বয়ে স্কুলটি গড়া।

প্রশাসনিক দিক থেকে অত্যন্ত দক্ষ, ছাত্র ও ছাত্রী উভয় ছেলেমেয়েরা এখানে পড়াশুনা করে। স্কুলের প্রচুর ক্লাস রুম থাকায় আমাদের ভবিষ্যতে একটি ভোকেশনাাল ট্রেনিং স্কুল করার ইচ্ছা আছে। বর্তমানে স্কুলটিতে সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী পাঠদান করা হয়। স্বনামধন্য অডিট কোম্পানী দ্বারা প্রতিবছর স্কুলের সকল আয় ব্যয় হিসাব অডিট করানো হয়। সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী নিজেদের স্কুলে এস.এস.সি পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি পেয়ে আমরা সরকারের বিধিমালা অনুযায়ী পরিচালনা করি।

ধন্যবাদান্তে
প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক,মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পৌর উচ্চ বিদ্যালয়
বীরমুক্তিযোদ্ধা ও কমান্ডার ফরিদা আক্তার
যুদ্ধকালীন নারী গ্রুপ কমান্ড,
জাতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা পদক ” বেগম রোকেয়া -২০২০” প্রাপ্ত
মোবাইল নং ০১৭১১-৫৩২৮১৫,০১৮১২-১২৭৩৩৩
ইমেইল : [email protected]

মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পৌর উচ্চ বিদ্যালয় (পূর্বতন: কিন্ডার কেয়ার হাই স্কুল) ১৩ নং বঙ্গবন্ধু সড়ক, নারায়নগঞ্জ কারিগরি সহায়তায় :Amar School by Amar Uddog Limited