মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের ওয়ের পেইজ সকলকে জানাই সুস্বাগতম এবং আন্তরিক অভিনন্দন।
১৯৭১ এর যুদ্ধকালীন সময়ে আগরতলায় ২নং সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের সাহায্য এবং যুদ্ধকালীন কর্মকান্ডকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও কমান্ডার ফরিদা আক্তার, যুদ্ধকালীন গ্রুপ কমান্ড এর নেতৃত্বে “ বাংলাদেশ মহিলা সংঘ নামে একটি সংগঠন তৈরী করেন। যার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের অন্যতম কাজ বিভিন্ন শরনার্থী শিবিরে স্কুল স্থাপন করা
১৯৭১ এর যুদ্ধকালীন সময়ে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয়স্থল শিশুদের মধ্যে শিক্ষার পরিবেশ এবং সেই সময় তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গড়ে তুলেছিলেন ৪(চার) টি শিক্ষাকেন্দ্র। যার নাম ছিল “ শরণার্থী পাঠশালা- ৭১”।
সেই পাঠশালাই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নানা বিপত্তি,ঘাত প্রতিঘাত কে পাশ কাটিয়ে সময়োপযোগী নাম পরিবর্তন করে আজ” মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পৌর উচ্চ বিদ্যালয়” হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।
বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পৌর উচ্চ বিদ্যালয় টি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর বিপরীত পাশে অবস্থান করে সুনামের সাথে মান সম্মত শিক্ষা প্রদান করে যাচ্ছে। যার সুনাম অক্ষুণ্ন রয়েছে দেশে ও বিদেশসহ বিশ্বের সকল প্রান্তে । বর্তমানে স্কুলটি ২৫ শতাংশ জায়গায় নিয়ে (২টি চারতলা এবং একটি ২তলা ভবন) এবং একটি সুবিশাল মাঠ নিয়ে তার কার্যক্রম পরিচালিত করছে।
পরবর্তীতে স্কুল পরিচালনার সুবিধার্থে ৪(চার)জন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। চারজন বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তিনজন মুক্তিযোদ্ধাই মারা গেছে।
বর্তমানে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও কমান্ডার ফরিদা আক্তার,যুদ্ধকালীন নারী গ্রুপ কমান্ডার এবং জাতীয় সবোর্চ্চ সম্মাননা পদক “ বেগম রোকেয়া পদক-2020” প্রাপ্ত কর্তৃক স্কুলের শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের নিয়ে দক্ষতার সাথে সুচারু ভাবে এবং সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে স্কুলটির যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
আমি সুনামধন্য ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে পরিচালিত বিদ্যালয়টি তে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। তাছাড়া এই স্কুলের পরিচালনা কমিটির উন্নত চিন্তা ধারা এবং বিশাল মনমানসিকতার সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমান স্কুলটিকে ডিজিটাল স্মার্ট বাংলাদেশের একটি প্রথম সারির স্কুল রূপান্তর করার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।
তাছাড়া এই স্কুলটিকে রয়েছে উন্নত বিজ্ঞানাগার, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমসহ অত্যাধুনিক সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা।
আমি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পৌর উচ্চ বিদ্যালয় সাফল্য কামনা করি । এই স্কুলটি যাতে বিশ্বের দরবারের মাথা উচু করে দাড়িয়ে থাকে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
মোহাম্মদ আল-আমিন,
সিনিয়র শিক্ষক(আইসিটি ও গণিত)
মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পৌর উচ্চ বিদ্যালয়,নারায়ণগঞ্জ ।
মোবাইল নং 01763893893
ইমেইল : [email protected]