বীরমুক্তিযোদ্ধা ও কমান্ডার ফরিদা আক্তার,
যুদ্ধকালীন নারীগ্রুপ কমান্ড ও রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা “বেগম রোকেয়া পদক-২০২০”
বীরমুক্তিযোদ্ধঅ ফরিদা আক্তার, প্রতিষ্ঠাতা · মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পৌর উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ · বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ২৩শে মে১৯৫২ সালে নবীগঞ্জ কমদ রসূল দরগাহ শরীফের খাদেম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা এম.এ.,এল.এল.বি।বাবা বিশিষ্ট আইনজীবী মরহুম আব্দুর রহমান মিয়া। মা লেখিকা মরহুমা আক্রামুননেছা রহমান। তিনি শৈশব কাল থেকেই কচি কাঁচা, মুকুল মেলা, খেলা ধুলা, গার্লগাইড, রাইফেল শ্যাটিংসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন।ছাত্র জীবনে তিনি ১৯৬৬ এর ছয় দফা, ১৯৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান ও ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি অত্যন্ত কর্মঠ,বিচক্ষণ,দক্ষ একজন সৃষ্টিশীল নারী । তিনি স্কুল, মাদ্রাসা এবং হাসপাতাল তৈরি করেন। তিনি তার কর্মের মাধ্যমে বহু মহিলার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচিত কমিশনার ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে ২নং সেক্টরে অস্ত্র ট্রেনিং প্রাপ্ত এবং সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এক নারী মুক্তিযোদ্ধা ও কমান্ডার। কর্মক্ষেত্রে দক্ষ ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি সমাজ সেবা, পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিকট হইতে দু”দুবার রাষ্ট্রীয় পদক লাভ করেন।২০১০সালে তিনি কেনিয়ার নাইবেরী সম্মেলেনে”গোল্ডেন ওয়ার্কার পুরষ্কার” এবং সিঙ্গাপুর এর স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উপলক্ষে ” বেষ্ট স্টার অফ ওয়ার্কার ট্রের্ড ইউনিয়ন” পুরষ্কর লাভ করেন। ২০২০ সালে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা “বেগম রোকেয়া পদক” লাভ
করেন।
১৯৬৪ সালে তিনি বেষ্ট গালর্স গাইড হিসাবে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব খানের নিকট হইতে জিন্নাহ মেডেল এবং ষ্টার অব পাকিস্তান খেতাব লাভ করেন। বর্তমানে তিনি UNDP এর লেবার ডিপার্টমেন্ট এর দক্ষিণ এশিয়ার কনসালটেন্ট এবং তিনি উইমেনস ওয়ার্ল্ড লেবার ফোরাম এশিয়া জোনের ভাইস প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে তিনি ITUC/BC আন্তজার্তিক ট্রেড ইউনিয়ন কাউন্সিল বাংলাদেশ মহিলা কমিটির প্রেসিডেন্ট।
ব্যক্তি জীবনে তিনি একজন সফল নারী ও সফল মা। তার ২ মেয়ে ১ ছেলে প্রত্যেকে উচ্চ শিক্ষিত এবং বিদেশে স্ব স্ব স্থানের প্রতিষ্ঠিত। তিনি আন্তজার্তিক বিভিন্ন সংস্থার সাথে জড়িত থাকায় পৃথিবীর মোট ১৪৯টি দেশ ভ্রমণ করার সুযোগ পেয়েছেন। দেশে বিদেশে বিভিন্ন বহু সংস্থার সাথে জড়িত থাকায় পৃথিবীর মোট ১৪৯ টি দেশ ভ্রমণ করার সুযোগ পেয়েছেন। দেশে বিদেশে বিভিন্ন বহু ট্রেনিং গ্রহণ করে নিজেকে অত্যন্ত দক্ষমানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন।